বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কিনে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে তুরস্ক

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৫১

ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের মুখে পড়ল।

রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনায় তুরস্কের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির ওপর এ অবরোধ আরোপ করা হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবরোধের ফলে ন্যাটোভুক্ত দেশ দুটির মধ্যে বিদ্যমান টানাপোড়েন আরও বাড়বে।

গত বছর রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনে তুরস্ক।

এদিকে অবরোধের ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘মারাত্মক ভুল’ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে এর ‘অন্যায় সিদ্ধান্ত’ পুনর্বিবেচনার আহ্বানও জানায় দেশটি।

তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, অবরোধ দুই দেশের সম্পর্ককে অনিবার্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। অবরোধের ফলে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপেরও হুমকি দেয় তুরস্ক। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা জানায়নি দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, রাশিয়ার যুদ্ধাস্ত্র না কিনতে বারবার তুরস্কের কাছে আবেদন করে দেশটি। তুরস্ক তার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় অবরোধ আরোপ ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের।

তুরস্কের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কেনাকাটা ও উন্নয়ন বিভাগ ‘প্রেসিডেন্সি অফ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএসবি)’ এবং এর সভাপতি ইসমাইল দেমিরসহ আরও তিন কর্মকর্তা অবরোধের মূল লক্ষ্যবস্তু।

ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের মুখে পড়ল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য, করোনাভাইরাসসৃষ্ট সংকট ও দুই সংখ্যার মুদ্রাস্ফীতিতে এরই মধ্যে পর্যুদস্ত তুরস্কের অর্থনীতিকে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরও বিপর্যস্ত করতে পারে।

২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ার স্থল থেকে আকাশ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনে তুরস্ক। দেশটির ভাষ্য, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর জন্য এ ক্রয় কোনোভাবেই হুমকি নয়।

কিন্তু এর পরপরই বেশ কয়েকবার অবরোধের হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে দেশটি গত বছর এফ-৩৫ জেট কর্মসূচি থেকে তুরস্কের নাম সরিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে অনেক উপলক্ষে তুরস্ককে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এস-৪০০ ব্যবস্থা ক্রয় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রযুক্তি ও সেনাদের হুমকির মুখে ফেলবে। এ ছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা তহবিলও এর মাধ্যমে ভারী হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর