রাশিয়ার কাছ থেকে গত বছর আকাশ প্রতিরক্ষার ‘এস-৪০০’ অস্ত্র কেনার জেরে তুরস্কের ওপর অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ন্যাটোভুক্ত দেশ দুটির সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচটি সূত্রের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বলে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তুরস্কের ওপর অবরোধের ব্যাপারে অনেক দিন ধরেই ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্রগুলো বলছে, যেকোনো দিন আসতে পারে ঘোষণা।
ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপ ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে তুরস্ককে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসতে যাওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক চরম আকারে পৌঁছাতে পারে।
সূত্রগুলো বলেছে, অবরোধের টার্গেট তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প এবং এর প্রধান ইসমাইল দেমির।
যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে তুরস্ক। এরই মধ্যে দেশটির মূদ্রার দাম কমতে শুরু করেছে। এই সপ্তাহান্তে লিরার মান কমেছে এক দশমিক চার শতাংশ।
করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই ধুঁকছে তুরস্কের অর্থনীতি। মুদ্রাস্ফীতি যেমন দুই সংখ্যার ঘরে পৌঁছেছে, তেমনি ব্যাপকভাবে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে তুরস্কের অর্থনীতিতে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে।
অবশ্য তুরস্কের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অবরোধের ফল উল্টো হবে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ন্যাটোভুক্ত দেশ দুটির সম্পর্ক।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘অবরোধে কোনো ফল আসবে না, বিপরীত প্রতিক্রিয়া হবে। অবরোধ সম্পর্ক খারাপ করবে। সমস্যাগুলো কূটনীতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে তুরস্ক। আমরা এক পক্ষীয় অবরোধ মানব না।’
তুরস্কের ওপর সম্ভাব্য অবরোধকে অন্যদের জন্যও কঠিন বার্তা হিসেবেও ব্যবহার করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মানে, কেউ রাশিয়ার অস্ত্র কিনতে গেলে ওয়াশিংটনের অবরোধে পড়তে হতে পারে কি না সে চিন্তাও করা লাগবে।