কাতারের ওপর চার আরব দেশের অবরোধ খুব শিগগিরই তুলে নেয়া হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ইতালির বার্ষিক ভূমধ্যসাগরীয় সংলাপে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আমাদের আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এই অগ্রগতি চূড়ান্ত চুক্তির পথকে প্রশস্ত করবে। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বিরোধের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তির কাছাকাছি আমরা। এই উদ্যোগ সবার কাছে সন্তোষজনক হবে বলে মনে করি।’
২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। একই সঙ্গে তারা দেশটির জল, স্থল ও আকাশপথে অবরোধ আরোপ করে।
সৌদি আরব ছাড়া বাকি তিনটি দেশ অগ্রগতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।
এক বছরেরও কিছু সময় আগে কাতারের সঙ্গে ওই চার দেশের চলমান বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, যা দ্রুতই ব্যর্থ হয়।
এদিকে বিরোধ নিরসনে শুরু হওয়া আলোচনাকে ‘গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ’ উল্লেখ করেছেন মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাসের আল-সাবাহ। তার বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংকট নিরসনে আশার কথা জানান।
বিবাদ নিরসনে হোয়াইট হাউজের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনারের সাম্প্রতিক উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কুয়েত টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক ফলপ্রসূ আলোচনায় চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে সব পক্ষ তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।’
কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি মধ্যস্থতার জন্য কুয়েতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আল থানি এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সংকট সমাধানে কুয়েতের বক্তব্য প্রয়োজনীয় এক পদক্ষেপ। মধ্যস্থতার জন্য কুয়েত ও উদ্যোগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’