বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাইগ্রে রাজধানীর ‘নিয়ন্ত্রণ’ নিল ইথিওপীয় বাহিনী

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ১১:১১

মেকেল্লেতে ইথিওপিয়ান সেনাদের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান কার্যালয়ে হামলার জন্য টিপিএলএফকে দায়ী করে চলতি মাসের শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।

বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ইথিওপিয়ার সরকারিবাহিনী উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা টাইগ্রের রাজধানী মেকেল্লের ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ’ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সরকারিবাহিনী এর আগে মেকেল্লে এলাকায় প্রবেশ করে টাইগ্রে পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নেয়।

তবে টিপিএলএফ এর নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তারা ‘আত্ম-অধিকার’ রক্ষায় আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাবে।

অঞ্চলটিতে সরকারিবাহিনী ও টিপিএলএফের সংঘর্ষে কয়েকশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

মেকেল্লেতে ইথিওপিয়ান সেনাদের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান কার্যালয়ে হামলার জন্য টিপিএলএফকে দায়ী করে চলতি মাসের শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য আল্টিমেটামও বেধে দিয়েছিল ইথিওপিয়ার সরকার। কিন্তু তা আমলে নেয়নি টিপিএলএফ।

আল্টিমেটামের সময় পার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গত বৃহস্পতিবার ‘চূড়ান্ত পর্যায়ের’ অভিযানে নামে সরকারিবাহিনী।

মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ নেয়া নিয়ে টুইটারে আবি আহমেদ লিখেছেন, শহরটি এখন সেনাদের পুরো নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্য দিয়ে সেনা অভিযানের চূড়ান্ত ধাপ সম্পন্ন হলো।

‘আমি এ খবর জানাতে পেরে আনন্দিত যে, আমরা টাইগ্রে অঞ্চলে অভিযান সম্পন্ন করেছি এবং এখানেই থামিয়েছি।’

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী আবি জানিয়েছেন, টিপিএলফের হাতে বন্দি কয়েক হাজার সেনা সদস্যকে মুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিমানবন্দর ও স্থানীয় অফিসগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ওই এলাকার ‘নাগরিকদের ভালোর জন্যই’ অভিযানটি চালানো হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানে প্রাণ ভয়ে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ মেকেল্লে শহর ছেড়ে পালিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামোগুলো পুনর্নিমাণ করতে হবে এবং যেসব মানুষ পালিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’

তবে সরকারিবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের ফলে টাইগ্রে অঞ্চলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কেননা সেখানে ফোন, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারন্টসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর