ইরান পরমাণু বোমা বানালে যে বিজ্ঞানীর ভূমিকা থাকতো সবচেয়ে বেশি, সেই মহসেন ফাখরিজাদেহ একদল আততায়ীর হামলায় নিহত হয়েছেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।
মহসেন মন্ত্রণালয়টির গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রাজধানী তেহরানের কাছে দামাবন্দ জেলায় আবসারদ এলাকায় শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্ত্রধারীরা মহসেনের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালালে তার দেহরক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
ইরানি গণমাধ্যম বলছে, গাড়িতে অবস্থানরত মহসেনের শরীর লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে হামলাকারীরা।
সংঘর্ষে অন্তত চার জন হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, এই হামলার জন্য ইসরায়েল দায়ী। ফাখরিজাদেহকে হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরানের ইসলামি রেভুলেশনারি গার্ড।
তবে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েল কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আরও ইউরেনিয়াম মজুত করছে এমন খবরের মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
তবে দেশটির দাবি তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে।
এর আগে ২০১০ ও ২০১২ সালে আরও চার জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী খুন হন। এর জন্যও ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে ইরান।
২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দিষ্ট করে মহসেন ফাখরিজাদেহর নাম উল্লেখ করেছিলেন।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস তাকে পরমাণু বোমার জনক রবার্ট ওপেনহাইমারের সঙ্গে তুলনা করেছিল।