প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বর্ষীয়ান কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দফতর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে পারেন জো বাইডেন।
ডেমোক্র্যাট এই নেতার ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীর বরাত দিয়ে রোববার এ খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গ নিউজ।
সিএনএনের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক বিশ্লেষক ব্লিনকেন বারাক ওবামার প্রসাশনের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট দফতরের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ব্যাপারে বাইডেনের এক ঘনিষ্ঠ মিত্রের নাম উল্লেখ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাইডেনের সম্ভাব্য সেরা পছন্দ ব্লিনকেন। এ ব্যাপারে চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা আসতে পারে।
৫৮ বছর বয়সী ব্লিনকেন বাইডেনের দীর্ঘ সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও।
গত অক্টোবরে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লিনকেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়া ছেড়ে দেবে না।
কূটনীতি ব্যবস্থাপনার জন্য সুনাম রয়েছে ব্লিনকেনের। অনেকে তাকে ‘কূটনীতিকের কূটনীতিক’ বলে উল্লেখ করে থাকেন। সুচিন্তক ও মৃদুভাষী ব্যক্তিটি বৈদেশিক নীতির বাস্তবিক কাজে পারদর্শী।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ার পর ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বিষয়ক পরামর্শদাতা ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েস্টএক্সেক’ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন ব্লিনকেন।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করা ব্লিনকেনের পড়াশোনা হাভার্ডে। স্বল্প সময়ের জন্য আইন অনুশীলনও করেছিলেন। ১৯৮০ এর দশকের শেষ দিকে নাম লেখান রাজনীতিতে।
প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় হোয়াইট হাউজে স্পিচরাইটারের দায়িত্বপালন করেন ব্লিনকেন। এরপর দায়িত্ব পান প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বিষয়ক অন্যতম সহযোগী হিসেবেও। ওবামার সময়ে তার ওপর ছিল পররাষ্ট্র বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নানা দায়িত্ব।
৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলে বাইডেনের কাছে হারলেও তা মানতে নারাজ ট্রাম্প। কোনো প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে ঠুকেছেন মামলাও।
তবে এসবে কোনো কাজ হবে বলে জোর ধারণা। নানা প্রান্ত থেকে কেবল হতাশা খবর শুনছেন ট্রাম্প।
ভোটের ফলাফলে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে ৩০৬টি জিতে নিয়েছেন বাইডেন, যেখানে হোয়াইট হাউজে যেতে দরকার ২৭০টি ইলেকটোরাল।