বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগামী শীতে ‘স্বাভাবিক জীবন’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:৩৩

টিকা উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান বায়ো-এনটেকের সহ প্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন বলেন, ‘আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, খুবই কার্যকর এই ধরনের একটি টিকার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কমিয়ে আনা যাবে; এটা হয়তো ৯০ শতাংশ হবে না, ৫০ শতাংশ হতে পারে।’

করোনাভাইরাসের নতুন টিকার প্রভাব গ্রীষ্ম পরবর্তী সময়ে মোটা দাগে টের পাওয়া যাবে মন্তব্য করে এক উদ্ভাবক বলেছেন, আগামী শীতের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে পারে।

জার্মানভিত্তিক বায়ো-এনটেকের সহ প্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন জানান, করোনা মোকাবিলায় এবারের শীত কঠিনই হবে। কেননা অতি ছোঁয়াচে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কোনো টিকার বড় প্রভাব দেখা যায়নি।

বায়ো-এনটেক ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফাইজার গত সপ্তাহে জানায়, প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের উৎপাদিত টিকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে মানুষকে ৯০ শতাংশ নিরাপদ রাখতে পারে।

তাদের টিকার পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল প্রায় ৪৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।

চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে বায়ো-এনটেক ও ফাইজারের টিকার ১ কোটি ডোজ পাওয়ার আশা করছে যুক্তরাজ্য। সেই সঙ্গে টিকাটির আরও ৩ কোটি ডোজ অর্ডার করে রেখেছে দেশটি।

করোনামুক্ত থাকতে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ করে নিতে হয় এই টিকা।

স্বাস্থ্যকর্মী ও অশীতিপরদের পর অধিক বয়স্ক ও কেয়ার হোমসের কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাটি দেবে ব্রিটিশ সরকার। এরপর বয়সভিত্তিকভাবে ধাপে ধাপে বাকিদেরও দেয়া হবে।

বিবিসির সাংবাদিক অ্যান্ড্রু মার শোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক সাহিন প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, করোনার সংক্রমণ কমাবে তাদের টিকা। সেই সঙ্গে টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে করোনার লক্ষণের বিকাশ রুখবে।

সাহিনের মতে, সংক্রমণ পরিস্থিতি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারাটা হবে টিকার বড় এক কার্যকরী প্রভাব এবং তা সম্ভব হবে।

‘আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, খুবই কার্যকর এই ধরনের একটি টিকার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কমিয়ে আনা যাবে; এটা হয়তো ৯০ শতাংশ হবে না, ৫০ শতাংশ হতে পারে। আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, মহামারি ছড়িয়ে পড়া রোধে এটা নাটকীয় ফল হতে পারে।’

গত সোমবার করোনা প্রতিরোধী বিশ্বের প্রথম কার্যকরি টিকার ঘোষণা আসার পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের রেজিয়াস অধ্যাপক স্যার জন বেল আশাবাদ প্রকাশ করে বলেছিলেন, বসন্তের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে পারে।

অধ্যাপক সাহিন জানালেন, বসন্ত নয়, পরিস্থিতি ঠিক হতে আরও সময় লাগতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ‘চলতি বছরের শেষ, নতুন বছরের শুরুর দিকে’ টিকা বিতরণ শুরু হতে পারে।

আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে বিশ্বজুড়ে বিতরণ করা হবে ৩০ কোটির বেশি ডোজ টিকা। আর ওই পরিমাণ টিকা বিতরণ করতে পারলেই টিকার প্রভাব শুরু হবে বলে মনে করেন সাহিন।

তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্ম আমাদের সহায়তা করবে; কেননা এই সময়ে সংক্রমণ হার কমে আসবে। তখন আমাদের জন্য অতি প্রয়োজন হবে শরৎ বা শীতের আগে সর্বোচ্চ হারে টিকা প্রদান করা।’

অধ্যাপক সাহিনের মতে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী শরতের আগে টিকাদান কর্মসূচিগুলো শেষ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিভাগের আরো খবর