চীন থেকে ধেয়ে আসা ‘হলুদ ধুলো’ ঝড়ে করোনাভাইরাস থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় উত্তর কোরিয়া তার নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (কেসিটিভি) বিশেষ আবহাওয়া অনুষ্ঠানে এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়। একই সাথে সারাদেশে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয় সরকার।
এর পরদিন বৃহস্পতিবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তা ফাঁকা হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া সরকারের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত রডং সিনমুন পত্রিকা লিখেছে, ‘প্রত্যেককে মারাত্মক ভাইরাসের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিদেশি দূতাবাসগুলোকেও ধুলোঝড়ের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে সকল বিদেশিকে ঘরে থাকতে বলেছে পিয়ংইয়ং।
এ সময় ঘরের জানালা খুব ভালোভাবে বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে মঙ্গোলিয়া ও চীনের মরুভূমি থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াতে ধুলোঝড় ধেয়ে আসে।
এতে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান থাকার আশঙ্কায় গত কয়েক বছর ধরে দেশ দুটিতে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল ধুলোঝড়ে করোনাভাইরাস থাকার কথা দাবি করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমি ধুলোঝড়ে করোনাভাইরাস থাকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
নিজেদের করোনামুক্ত দাবি করলেও জানুয়ারি মাস থেকে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে কড়াকড়ি চলছে।
লোকজনের চলাচলের ওপরও আরোপ করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
দেশটিতে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না থাকার বিষয়টিকে ‘অস্বাভাবিক’ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।