পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যুব মোর্চার 'নবান্ন অভিযান' ঘিরে দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারায় কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা।
বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন।
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। তার আগে 'গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে' বৃহস্পতিবার শক্তি পরীক্ষায় নামে বিজেপি। দলের যুব শাখার ব্যানারে কর্মসূচি হলেও অংশ নিয়েছিলেন সর্বস্তরের নেতারাই। ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সরকারি কার্যালয় ‘নবান্ন’ অবশ্য জীবাণুমুক্ত করার জন্য আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছিল।
কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি সমর্থকরা নবান্নে প্রবেশের চেষ্টা করে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিজেপি কর্মীদের। আন্দোলনকারীরা ইট ছোড়েন পুলিশকে লক্ষ্য করে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে চলে লাঠি। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।
আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় নেতা তথা আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। তাই বিজেপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে রক্তাক্ত করল পুলিশ।’
তৃণমূল নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিজেপি আসলে কোনও রাজনৈতিক দলই নয়। গুন্ডা বাহিনী। অশান্তি সৃষ্টি করাই তাঁদের লক্ষ্য।’
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে। যুবমোর্চার সভাপতি তেজস্বী যাদব দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তের।
এই কর্মসূচিকে ঘিরে কলকাতা কার্যত স্তদ্ধ হয়ে থাকে গোটা দিন। দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। অ্যাম্বুলেন্সকেও মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আটকে থাকতে হয় বহু সময়।