টুইটারের চীনা সংস্করণ ডুইনের এক তারকাকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
লামু নামের ওই নারীকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার সাবেক স্বামী হত্যাচেষ্টা চালায়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেছেন।
ডুইনে লামুর হাজার হাজার ফলোয়ার রয়েছে।
ঘটনাটির পর থেকে দেশটিতে নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন নাগরিকরা। তারা হ্যাশট্যাগ দিয়ে এ ঘটনার বিচার চাইছেন।
স্থানীয় মাধ্যম বেইজিং ইয়ুথ ডেইলির বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, লামু লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করার অল্প সময়ের মধ্যেই স্ক্রিন কালো হয়ে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
সাবেক স্বামী টাং ছুরি ও পেট্রোল নিয়ে লামুর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিচুয়ান প্রদেশের লামু বেশি পরিচিত ছিলেন তার আনন্দপূর্ণ সব পোস্টের কারণে। এ ছাড়াও দেশটির মফস্বলের জীবন তুলে আনতেন ভিডিওতে।
লামু তার ভিডিওতে কোনো ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করতেন না যেমন প্রশংসা পেতেন, তেমনি লাইকের সংখ্যাও ছিল লাখ লাখ।
জিনচুয়ান কাউন্টি পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লামুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে সিচুয়ানের প্রাদেশিক গণহাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তার চিকিৎসা সহায়তার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে একটি হ্যাশট্যাগ চালু করে তার পরিবার। এরপর ২৪ ঘণ্টায় তার এক লাখ ১৪ হাজার ২৮০ ডলার সহায়তা পায়।
বেইজিং ইয়ুথ ডেইলি জানিয়েছে, লামুর সাবেক স্বামীর পারিবারিক সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে।
লামুর দেবর লুও জানিয়েছেন, আগে থেকেই টং তার বোনকে মারধর করতেন।
সে কারণে চলতি বছরে লামু তার টংকে তালাক দিয়েছেন। তাদের দুই সন্তানের দায়িত্ব পেয়েছেন বাবা-মা দুজনে।