১২ ডিসেম্বর থেকে আগামী চার দিন প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ছয় মাস বয়সী থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস (নীল ও লাল রঙের ক্যাপসুল) খাওয়ানো হবে।
শিশুদের জন্য ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীর নিপসম সেন্টারে মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দুই কোটি ৩০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এই টিকা জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশের ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে খাওয়াতে হবে।
‘টিকা খাওয়াতে শিশুদের ভরাপেটে নিয়ে আসতে হবে। ছয় মাসের কম বয়সী ও পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এ টিকা খাওয়ানো যাবে না।’
এবারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫ শত শিশুর ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করা। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ শিশুকে নীল রঙের এবং ১১-৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লক্ষ ২ হাজার শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন চলবে আজ ১২ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৪ দিন ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। টিকাদানে আমাদের সফলতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। করোনার সময়েও বাংলাদেশ এক দিনে এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বে আলোচিত হয়েছে। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে৷ ‘এবার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আমরা দুই কোটি ৪০ লক্ষ শিশুকে টার্গেট করেছি। এ জন্য আমাদের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিকাদান প্রক্রিয়ায় এবার ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ লক্ষ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।’