হার্ট অ্যাটাক এখন বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়তে থাকা স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি। চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ মনে হলেও অনেক মানুষের শরীরে নীরবে তৈরি হয় হৃদরোগের ঝুঁকি। অনেক সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ ঘটে যায় হৃদ্রোগজনিত জটিলতা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুযায়ী, হার্ট অ্যাটাকের ৯৯ শতাংশ ঘটনার পেছনে মাত্র চারটি কারণই প্রধান ভূমিকা রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণহীন উচ্চ রক্তচাপ হৃদ্রোগের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। রক্তচাপ ১৩০/৮০ এর বেশি হলে ধমনীতে চাপ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
উচ্চ কোলেস্টেরল
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বেড়ে গেলে ধমনিতে চর্বি জমতে শুরু করে। এ জমাট ধমনী সংকুচিত করে এবং রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
রক্তে অতিরিক্ত শর্করা
ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে ধমনিতে প্লাক জমা হয়। এর ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
ধূমপান
ধূমপানের ফলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) কমে যায়। এতে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়।
কীভাবে ঝুঁকি কমানো যায়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত শরীরচর্চা, সুষম খাদ্যগ্রহণ, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার এবং রক্তচাপ ও রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, স্ট্রেস টেস্টসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।