দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
তিনি বলেছেন, দ্রুত সাত লাখ স্যালাইনের ব্যাগ আমদানি করা হবে।
সাভারের আশুলিয়ায় বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রোববার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওই সময় মন্ত্রী বলেন, ‘রোগীরা যাতে বেড পায়, ওষুধ পায় ও স্যালাইন পায় সেই কাজ সফলতার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করে আসছে। বাইরে আমরা দেখলাম, স্যালাইনের অভাব দেখা দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের হাসপাতালে স্যালাইনের অভাব নেই।
‘তারপরেও আমরা সরকারিভাবে নির্দেশনা দিয়েছি যেন ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন দ্রুত বাজারে ইমপোর্ট করে আনা হয়। সেটার (আনা) কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে স্যালাইন চলে আসছে। আর লোকাল স্যালাইন তো তৈরিই হচ্ছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি মশা যে পর্যন্ত না কমবে, সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। কারণ মশার কামড়েই ডেঙ্গু রোগী হয়। কাজেই মশা নিধন করতে হবে। মশা নিধন করলেই রোগী কমবে মৃত্যু কমবে।
‘আমাদের যা চিকিৎসা দেয়ার আমরা তার বাইরেও সচেতনতামূলক কাজও করে যাচ্ছি। আমরা টেলিভিশন, পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন দিই, মাইকিংও করছি। যে কাজটি সিটি করপোরেশনের সেটিও আমরা করছি।’
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে আই কেয়ার ইউনিট ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ-কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত এইচ.ই পার্ক ইয়ং সিক।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের নির্বাচিত অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নয়ন’ প্রকল্পটি শুরু হয়। দক্ষিণ কোরিয়া সরকার প্রকল্পটিতে ৯.৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান করে ও কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কেওইসি) এটি বাস্তবায়ন করে।