স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর এ স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে হলে আমাদের নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। শরীরচর্চার মাধ্যমে আমরা যেমন স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে পারি, তেমনি নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি। পাশাপাশি আমরা তারুণ্য দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারি।
এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মিস্টার বাংলাদেশ এবং ফিটনেস কোচ সাকিব নাজমুস। সে পরামর্শগুলো তার ভাষায় তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে।
বর্তমান সময়ের যুবকরা শরীরচর্চায় অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ও সুঠাম দেহের অধিকারী হয়ে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করার দিকে ঝুঁকছেন। আকর্ষণীয় মাসল ফিটনেসের জন্য একজন যুবকের বেশ কিছু বিষয়ে নজর দেয়া উচিত।
ওয়ার্কআউট
নিজেকে ফিট করতে চাইলে রেগুলার ওয়ার্কআউটের বিকল্প নেই। আমরা রেগুলার ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে মাসল ও শারীরিক গঠনের পরিবর্তন আনতে পারি। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ওয়ার্কআউট করা উচিত।
ওয়ার্কআউটের ক্ষেত্রে আমরা যারা ওজন কমাতে চাই, তাদের কার্ডিওর ওপর ফোকাস বেশি দেয়া উচিত। আর যারা আমরা মাসল গেইন করতে চাই, তাদের প্রতিদিন একটি করে বড় মাসলের সঙ্গে একটি ছোট মাসলের ওয়ার্কআউট করা উচিত। আর আমাদের ওয়ার্কআউট অবশ্যই ভালো কোনো প্রশিক্ষকের মাধ্যমে করা উচিত।
প্রশিক্ষকের সঙ্গে নিজের বর্তমান কন্ডিশন ও টার্গেটের ওপর ভিত্তি করে চার্ট তৈরি করে নিতে হবে।
ডায়েট
ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি আমাদের ডায়েটের ওপর শতভাগ ফোকাস করতে হবে। আমাদের শারীরিক পরিবর্তনের বেশির ভাগই নির্ভর করে ডায়েটের ওপর।
পরিপূর্ণভাবে ডায়েট অনুসরণ না করে আমরা কখনোই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। এ জন্য আমরা নিউট্রেশন স্পেশালিস্টের মাধ্যমে বর্তমান কন্ডিশন ও আমাদের টার্গেটের ওপর নির্ভর করে ডায়েট কী হবে, তা নির্ধারণ করে নিতে পারি।
ঘুম
শরীরচর্চা যারা করেন তাদের জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। এ জন্য প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কারণ ঘুমের মাধ্যমে আমাদের মাসলগুলা রেস্ট পায়। পাশাপাশি আমাদের মাসলগুলো রিকভার হয়। এ ছাড়া রাতে আমাদের ঘুমের মাধ্যমে আমাদের ন্যাচারাল টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। আর এই রিকভারি ও ন্যাচারাল টেস্টোস্টেরন তৈরি আমাদের মাসল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ফুড সাপ্লিমেন্ট
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যভ্যাসে অনেক ক্ষেত্রে মাসল বৃদ্ধির জন্য যে নিউট্রেশনগুলা দরকার হয়, তা পাই না। এ জন্য আমাদের শরীরে অনেক রকম নিউট্রিশনের ঘাটতি রয়ে যায়। তা আমাদের শরীরচর্চায় মাসল বাড়ানো বা ওজন বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এ জন্য আমরা সহায়ক হিসেবে ফুড সাপ্লিমেন্ট নিতে পারি। ফুড সাপ্লিমেন্টের মধ্যেও অনেক ভাগ আছে। যার যার বডি কন্ডিশন ও টার্গেট অনুযায়ী তার ফুড সাপ্লিমেন্ট চার্ট হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের যার যার নিজের বডি কন্ডিশন ও টার্গেট অনুযায়ী আমাদের ওয়ার্কআউট চার্ট, ডায়েট চার্ট ও ফুড সাপ্লিমেন্ট চার্ট ভিন্ন হবে।
সবার জন্য একই ওয়ার্কআউট চার্ট, ডায়েট চার্ট ও ফুড সাপ্লিমেন্ট চার্ট হবে না।
শরীরচর্চার মাধ্যমে আমরা তখনই আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব যখন আমাদের ওয়ার্কআউট চার্ট, ডায়েট চার্ট, পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম বা ঘুম ও ফুড সাপ্লিমেন্ট শতভাগ মেইনটেইন করতে পারব। তার মধ্যে কোনোটা বাদ দিয়ে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।