করোনাভাইরাস সংক্রমণে দেশে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এই ভাইরাস শনাক্ত ২৮৭ জনের দেহে। সংক্রমণের এই হার ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার এই হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বলা হয়েছে, এই সময়কালে চার হাজার ১২০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে হিসাবে শনাক্ত হার ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের দিন তা ছিল ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণে নতুন করে মারা গেছেন এক নারীসহ ছয়জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় এক, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দুইজন করে এবং ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন। তারা সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নতুন শনাক্তদের ১৮৯ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। এই সময়ে আরও ৬ মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ৪০৮ জন।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৩৩ হাজার ১১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৫৫৪ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৬ জন।
টানা ১৪ দিন ধরে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় দেশে করোনার পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয়েছে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শনাক্ত হার টানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তারপর থেকে এই হার ওঠা-নামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি।
কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যায় দৃশ্যপট। বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। ১৪ দিন ধরে তা ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে এক-দুদিন শনাক্ত হার কমলেও তা কখনও ৫-এর নিচে নামেনি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তারপর চতুর্থ ঢেউ শেষে এখন পঞ্চম ঢেউ চলছে।