দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৯ হাজার ৫৮০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৬১১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ২১ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৯৫৮ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৯৫ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নতুন সাত জনের মধ্যে চার জন পুরুষ ও তিন জন নারী। তারা সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃতদের মধ্যে চার জন ঢাকার, এক জন টাঙ্গাইলের, এক জন নওগাঁর ও এক জন খুলনার।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৯০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১১ হাজার ৩৬৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।