বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০৪ শিশুর পরিবারকে ১৫ লাখ করে দেয়ার নির্দেশ

  •    
  • ২ জুন, ২০২২ ১৪:৪৮

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ১৯৯১ সালে ৭৬ শিশু এবং ২০০৯ সালে রীড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২০১০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। এরপর রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে।

ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে প্রাণ হারানো ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ ক্ষতিপূরণ দিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ১৯৯১ সালে ৭৬ শিশু এবং ২০০৯ সালে রীড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ২০১০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। এরপর রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে।

তিনি আরও বলেন, রায়ে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে মৃত্যুর ঘটনায় ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ ঘোষণা, ভেজাল ওষুধের অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি আদালত বলেছে, ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর দায় ওষুধ প্রশাসন অধিপ্তর এড়াতে পারে না।

ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় ঢাকার ঔষধ আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর রায় দেয়।

রায়ে বিচারক বলেছিলেন, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তখনকার সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও উপপরিচালক আলতাফ হোসেনের ‘অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে’ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ‘তিরস্কার’ করে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ঔষধ প্রশাসন।

এরপর এ দুই কর্মকর্তা তাদের চাকরি শুরু করেন। ৩১ মার্চের ওই প্রত্যাহার আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে আবেদন করে।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেয়। দীর্ঘ রুলের শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর