বগুড়ায় করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ না থাকায় টিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাচ্ছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বলছে, নতুন করে বুস্টার ডোজের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই চালান আসবে।
শনিবার সকালে শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ বন্ধ রয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার বাঘোপাড়া থেকে বুস্টার ডোজ টিকা নিতে এক নারী আসেন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে। রোজিনা ইসলাম নামের এই নারীর ডোজের তারিখ ছিল ২৮ এপ্রিল।
তিনি জানান, ঈদের জন্য বুস্টার ডোজ নেয়া হয়নি। আজ (শনিবার) হাসপাতালে এলে জানানো হয়, বুস্টার ডোজ শেষ হয়ে গেছে। কয়েক দিন পর আবার আসতে বলছেন তারা।
বুস্টার ডোজ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার সাজ্জাদুল হক শাহী।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ৪০ হাজার ডোজের চাহিদা পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। এর মধ্যে ৩০ হাজার ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার। এই চাহিদার মধ্যে ৫ হাজার মডার্না এবং ৫ হাজার ফাইজারের ডোজ রয়েছে।’
ডা. সাজ্জাদ জানান, জেলায় প্রায় ২ লাখ ৬৪ হাজার ২৯১ জন করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। এখনও ২৩ লাখ ৪১ হাজার ১৪৭ জন বুস্টার ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামির হোসেন মিশু বলেন, বুস্টার ডোজ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এতে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। রমজান মাসে মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন নেয়ার চাহিদা কম ছিল। যে জন্য নতুন করে বুস্টার ডোজ আনা ছিল না। বৃহস্পতিবার চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে চলে আসবে।