করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে টানা পাঁচ দিন দেশে করোনায় মৃত্যু নেই। এর আগে ২০ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় এ সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেল।
সোমবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার এ হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৭ জন। এর মধ্যে শুধু ঢাকা বিভাগের ২০ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৮৩ জনে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। রোববার এই সংখ্যা ছিল ২৪ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৯৯ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
কমেছে শনাক্ত, বেড়েছে মৃত্যু গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ২৬১ জন। অর্থাৎ এক সপ্তাহে রোগী শনাক্ত কমেছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এর আগের সপ্তাহে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে হিসাবে মৃত্যু বেড়েছে ২০০ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।