করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে নিবন্ধন করে এক কোটির বেশি মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন।
তাদের দ্রুত সময়ে টিকাদান নিশ্চিতে কেন্দ্রগুলোতে বুথ বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে রোববার এমন নির্দেশনার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড় কমাতে বুথ বাড়ানো এবং প্রয়োজনে সাব সেন্টার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘টিকার জন্য নিবন্ধন করে অনেকেই এখনও টিকা নিতে অপেক্ষমাণ রয়েছেন। অনেকেই টিকার জন্য এসএমএস পাচ্ছেন।
‘তাদের দ্রুত সময়ে টিকা নিশ্চিতে বুথসংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে টিকা কেন্দ্রগুলোতে। টিকা পেতে সবাইকেই কম-বেশি অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রস্তুতির জায়গা থেকে এখনই সরে যাচ্ছি না। কারণ এখনও শনাক্তের হার ১৬ শতাংশের বেশি। কোভিড, নন-কোভিড সবাইকেই সমান গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘোষণা দিয়ে গত ৭ আগস্ট থেকে ছয় দিনের জন্য গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ছয় দিনের কার্যক্রমের আগেই বেশ কিছু কেন্দ্রে টিকাদান বন্ধ করে দেয়া হয়।
ছয় দিনে দেশের ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনে চার দিনেই টিকা নিয়েছেন ৪২ লাখের বেশি মানুষ।
দেশের সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এবং সিটি করপোরেশন পর্যায়ে রাত থেকেই টিকাপ্রত্যাশীদের লাইন দেখা যায়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।
করোনা প্রতিরোধী টিকা পেতে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭ জন নিবন্ধনকারী অপেক্ষায় রয়েছেন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত করোনার টিকাসংক্রান্ত এক তথ্যে নিবন্ধনের বিষয়টি জানা গেছে।