জাপান থেকে দেশে এসেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার আরও প্রায় আট লাখ ডোজ।
ক্যাথে প্যাসিফিক বিমানে করে ৭ লাখ ৮১ হাজার টিকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা প্রতিরোধী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম ভারত থেকে আনে বাংলাদেশ। ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা ছিল ভারতের।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় রপ্তানি বন্ধ করে দেয় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট। এর ফলে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ করে দিতে হয় সরকারকে।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাপান কোভ্যাক্সের আওতায় টিকা পাঠানো শুরু করায় সে সংকট অনেকটা কেটে গেছে।
জাপান বাংলাদেশকে ৩০ লাখ টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ২৪ লাখ টিকা তারা পাঠিয়েছে।
জাপান সময় শুক্রবার পৌনে ১০টায় অল নিপ্পন এয়ারলাইনসের কার্গো বিমান চালানটি নিয়ে হংকংয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে টোকিও দূতাবাস।
এ নিয়ে জাপান থেকে এলো টিকার চতুর্থ চালান।
এর আগে ৩ আগস্ট জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তৃতীয় চালান ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫টি দেশের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান। সেখান থেকে কয়েক দফায় ৩০ লাখ টিকা বাংলাদেশকে দেবে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
দেশে চাহিদার অনুপাতে টিকা সরবরাহ কম থাকায় সংকট তৈরি হয়েছিল। সে অবস্থা এখন অনেকটাই কেটে গেছে।
দফায় দফায় টিকা আসছে চীনের সিনোফার্ম থেকে। এ ছাড়া কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে মডার্না ও ফাইজারের টিকা।