করোনা রোগীদের বাড়তি চাপ সামলাতে চালু করা ফিল্ড হাসপাতালে ফাঁকা পড়ে আছে বেশির ভাগ শয্যা। বর্তমানে সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ৬১ জন।
তিন দিন আগে চালু হওয়া হাজার শয্যার ‘বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতাল’-এ আপাতত ৩৫৭টি শয্যা প্রস্তুত আছে। রাজধানীর অন্য হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকলেও এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন কমসংখ্যক মানুষ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মাঝে ফিল্ড হাসপাতালের এ চিত্র অবাক করছে সংশ্লিষ্টদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন চালু করা ফিল্ড হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৯০ জন করোনা রোগী সেবা নিয়েছেন। তবে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ৬১ জন রোগী। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এক হাজার শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হয় গত ৮ আগস্ট। আপাতত ৩৫৭টি বেড চালু করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪০টি আইসিইউ বেড।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, ধাপে ধাপে এই ফিল্ড হাসপাতালের সব বেড চালু করা হবে। এখানে ২০০ আইসিইউ, এইচডিইউসহ মোট ১ হাজার শয্যা থাকবে। ছয়তলা ভবনে স্থাপিত হাসপাতালটির আপাতত তিনতলা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঁচটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের হাসপাতাল স্থাপন করা হতে পারে।
ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে বেশ কিছু সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সম্ভাব্য জায়গার মধ্যে আছে হাটখোলায় এফবিসিসিআইয়ের ভবন, গুলশান শুটিং ক্লাব, মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম ও মিরপুর পুলিশ কনভেনশন সেন্টার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এর মধ্যে গুলশান শুটিং ক্লাব ভবনটি কী প্রক্রিয়ায় হাসপাতালে রূপান্তর করে করোনা রোগীর চিকিৎসার আওতায় আনা যায় তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে সেটি দ্রুততম সময়ে চালু করা হবে। বাকিগুলোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।