করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখন পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি তাদের মৃত্যুর হারও বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শক শেষে এমন কথা বলেন জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে মহিলারা কম আক্রান্ত হতো। আগে ২০ শতাংশ নারী আক্রান্ত হতো। এটা বেড়ে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সিনোফার্মের সঙ্গে দেড়কোটি টিকার বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ চলে আসছে। টিকার সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। টিকা সংগ্রহে কাজ করছি। নতুন করে আরও ছয় কোটি ডোজের জন্য চুক্তি করা হচ্ছে। মোট সাড়ে সাত কোটি টিকা চীন থেকে আনার চেষ্টা করছি, সিনোফার্ম যদি কমিটমেন্ট ঠিক রাখে তাহলে নভেম্বরের মধ্যে পেয়ে যাব এসব টিকা। অক্টোবর ও নভেম্বর এই দুই মাসে চার কোটি টিকা আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। চীন সরকার থেকে জানানো হয়েছে এই টিকাগুলো আমরা নভেম্বরের মধ্যে পেয়ে যাব। চীন সরকার যদি তাদের কমিটমেন্ট ঠিক থাকে, তাহলে আমরা নভেম্বরের ২ কোটি আর অক্টোবরে ২ কোটি টিকা পাব। কোভ্যাক্সের আওতায় আরও টিকা আসবে।
শনিবার বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি
গ্রামের মানুষগুলো ঠিকভাবে টিকা নিচ্ছেনা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘হাসপাতালে যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন তাদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই গ্রামের মানুষ যারা টিকা নেননি। এখন টিকা তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি তারা টিকা নিলে সংক্রমণ কমে আসবে।’
হাসপাতালে বেড বাড়িয়ে লাভ নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন করছি, হাসপাতালে শয্যার একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দীর্ঘদিন করোনা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে ক্লান্ত অনেকে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিতে হবে।’
তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসায় ১৭ হাজার বেড আছে। কোভিড চিকিৎসার পাশাপাশি সারা দেশে ডেঙ্গু চিকিৎসাও করতে হচ্ছে। নারীদের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে।
চলমান টিকা কার্যক্রম, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়ে গেছি। আজ থেকে গণটিকা শুরু হয়েছে ১৮ হাজার কেন্দ্রে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, যে কয়দিন পারি চালিয়ে যাব। সারা বছরব্যাপী টিকা কার্যক্রম চলবে। বয়স্ক, নারী, প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এমন কার্যক্রম গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।