বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘করোনা ইউনিট থেকে বের হচ্ছে শুধু লাশ’

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২১ ২১:২০

ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক উস-সালেহীন বলেন, ‘আমাদের কাছে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোর তথ্য রয়েছে। কিছু রোগী বাসা-বাড়িতে নিজেদের মতো করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ মুমূর্ষু হয়ে পড়লে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। সে হিসেব আমাদের কাছে নেই।’

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের ৩০টি শয্যাকে করোনা আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছিল গত বছরের এপ্রিলে। ওই ইউনিটে এখন ১৩৭ রোগী ভর্তি।

গত ৭২ ঘন্টায় করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৯ জন। করোনা ইউনিট থেকে বের হচ্ছে শুধু লাশ।

শুক্রবার সকাল ৮টার আগে তিন দিনে ২৯ জন মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী।

হাসপাতালের ডোম আবদুর রহীম বলেন, ‘আমি যখন থেকে এ হাসপাতালে চাকরি করি তখন থেকে ৭২ ঘন্টায় ২৯ লাশ দেখিনি। হাসপাতালের লাশ ঘরেও একসঙ্গে এতো মরদেহ যায়নি কখনো।’

ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক আবু তাহের বলেন, ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিট এখন লাশ ঘরে পরিণত হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর মিছিল চলছে। এ যেন এক মৃতুপুরী। হাসপাতালে প্রচুর অক্সিজেনের চাহিদা। অক্সিজেন চাহিদা মেটানোও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। এখনও হাসপাতালে ১৩৭ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ রয়েছেন ৩৪ জন। আইসিইউতে ও এইচডিইউতে ২০ জন। ভর্তি সব রোগীকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।

আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, গত ৭২ ঘন্টায় করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৯ জন। এর মধ্যে সাত জন পজিটিভ ও ২২ জন উপসর্গধারী।

তিনি বলেন, ‘রোগীদের মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়, এ কারণে অক্সিজেনসহ চিকিৎসা দেয়ার পরও রক্ষা করা কঠিন হয়ে যায়। হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে। সহসাই বাড়ানো হবে। এখানে জনবল সংকট রয়েছে।’

জেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশনে মৃত্যুর সংখ্যা জানা নেই জেলা স্বাস্ব্য বিভাগের।

ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক উস-সালেহীন বলেন, ‘আমাদের কাছে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোর তথ্য রয়েছে। কিছু রোগী বাসা-বাড়িতে নিজেদের মতো করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ মুমূর্ষু হয়ে পড়লে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। সে হিসেব আমাদের কাছে নেই।’

করোনা রোগীর স্বজন তানভীর খালেদ জানান, ‘বাবাকে নিয়ে চারদিন ধরে হাসপাতালে আছি। করোনা ইউনিটকে লাশ ঘর মনে হচ্ছে। শুধু লাশ বের হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর