দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের মার্চ থেকে ভাইরাসটির সংক্রমণে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২২ হাজার ১৫০ জন।
শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২ হাজার ৬০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০ জনের শরীরে।
২৪ ঘণ্টায় দেশের ৭০৭টি ল্যাবে করোনার ৪৮ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এ সময়ে সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৯৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭জন। সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৩৮ জন, নারী ১১০জন। এর মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৭, ত্রিশোর্ধ্ব ১৯, চল্লিশোর্ধ্ব ৩২, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬২ ও ষাটোর্ধ্ব ৬২, সত্তরোর্ধ্ব ৩৯, অশীতিপর ১৫ ও নবতিপর ২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ৭৫ জন। এ ছাড়া খুলনায় ৩৬ জন, রাজশাহীতে ১৬, বরিশালে ২০, সিলেটে ১৬ রংপুরে ৮ ও ময়মনসিংহে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড পরীক্ষার জন্য হাসপাতালগুলোতে রোগীর লাইন বাড়ছে। ছবি: নিউজবাংলা
দেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি। গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি। তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়। সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।
করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দফায় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ, লকডাউন বা শাটডাউন দিচ্ছে সরকার। বর্তমানে ঈদুল আজহা-পরবর্তী ১৪ দিনের শাটডাউন চলছে দেশে। এই শাটডাউন শেষ হওয়ার আগেই এর মেয়াদ আরও পাঁচদিন বাড়িয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী, ১১ আগস্ট থেকে বাসসহ গণপরিবহন চালু করা এবং দোকানপাট ও অফিস আদালত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।