বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীন থেকে সাড়ে ৭ কোটি টিকা কিনছে বাংলাদেশ

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ২০:২৬

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চীন থেকে সিনোফার্মের ৭৫ মিলিয়ন (সাড়ে সাত কোটি) ডোজ টিকা আনার অর্ডার দিয়েছি। এরই মধ্যে ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) ডোজের মূল্য পরিশোধ করেছি। বাকিটার প্রসেস চলছে। এ ছাড়াও চলতি মাসে কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা আসছে।’

চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বিবিআইবিপি-করভির ৭৫ মিলিয়ন বা সাড়ে সাত কোটি ডোজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ১৫ মিলিয়ন বা দেড় কোটি ডোজ টিকার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা চীন থেকে সিনোফার্মের ৭৫ মিলিয়ন ডোজ টিকা আনার অর্ডার দিয়েছি। এরই মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডোজের মূল্য পরিশোধ করেছি।

‘বাকিটার প্রসেস চলছে। এ ছাড়াও চলতি মাসে কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা আসছে।’

মোমেন বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের ৬ মিলিয়ন বা ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল, এত টিকা আমাদের রাখার ব্যবস্থা আছে কি না।

‘আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এটি নিয়ে কথা বলেছি। আজ আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের রাখার জায়গার সমস্যা নেই।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে এক কোটি টিকা দেয়ার যে প্রোগ্রাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছিল তাতে কিছুটা পরিবর্তন তারা এনেছে। এটা হয়তো কিছুটা এদিক-সেদিক হবে। তবে সরকারের টিকাদান লক্ষ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

‘আমরা দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে চাই। প্রতি সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দিলে দুই মাসে আট কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ছিল সরকারের। তা হয়তো কিছুটা এদিক-সেদিক হতে পারে।’

গণটিকাদান নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আমরা আমাদের হাতে থাকা টিকা থেকে প্রথম ডোজ নেয়া নাগরিকদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখেই গণটিকা কার্যক্রম চালাতে চাই। টিকা আসবে ও সেটি দেয়া হতে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া ভারত জানিয়েছে, তাদের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাদের করোনা পরিস্থিতি আরেকটু উন্নতি হলে নয়াদিল্লি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে।

‘তবে আমি দ্রুত যৌথ উৎপাদন শুরু করতে চাই। চীনের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত। যেকোনো সময় চুক্তি হবে। এরপরই ইনসেপটা উৎপাদনে যেতে পারবে। তবে চুক্তি সইয়ের পরও আট সপ্তাহ সময় লাগবে।’

রাশিয়ার টিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের তৃতীয় ঢেউয়ে অফিস-আদালত সব বন্ধ। আমরা আমাদের সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। অচিরেই সাড়া পাওয়া যাবে।’

এদিকে বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে জাপান।

একই টিকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনেছিল বাংলাদেশ। দুই দফায় ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাকি টিকা দিতে পারেনি সিরাম।

সরবরাহ সংকটের কারণে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি। জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসায় অপেক্ষমাণদের রোববার থেকে আবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫টি দেশের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান। সেখান থেকে কয়েক দফায় ৩০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশকে দেবে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

কিছুদিন আগ পর্যন্ত দেশে টিকার সংকট থাকলেও এখন অনেকটাই কেটে গেছে তা। দফায় দফায় টিকা আসছে চীনের সিনোফার্ম থেকে। এ ছাড়া কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে মডার্না ও ফাইজারের টিকা।

এ বিভাগের আরো খবর