বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে।
করোনায় রোগী মারা গেলে আইসিইউর একটি ভেন্টিলেটর মেশিন ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে তর্কে জড়ান তারা।
শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে ক্ষমা চান অভিযুক্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০ জুলাই রাত ২টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা মনিরুজ্জামানের অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে গেলে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে করোনা ইউনিটের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনরা হাসপাতালে হট্টগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা আইসিইউর ভেন্টিলেটর মেশিন ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা মেশিন ভাঙচুর করেন। এতে ভেন্টিলেটর মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে রোগীর চার স্বজনকে আটক করে। পরে চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে ক্ষমা চাইলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ওই রোগীর ভাই হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বেলা সোয়া ৩টার দিকে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। রোগীকে বাঁচাতে চিকিৎসক ও নার্সের কাছে যাই। কিন্তু তারা বাঁচাতে পারেনি।’
তার দাবি, রোগীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবারহ না থাকা এবং হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সঠিকভাবে কাজ না করায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে রোগীর মৃত্যুর খবরে স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, তারা একটি ভেন্টিলেটর মেশিনে আঘাত করেন। এতে মেশিনটিতে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়। তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে স্বজনদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে রোগীর চার স্বজনকে আটক করা হয়। পরে তারা ক্ষমা চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।