বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪২তম বিসিএস থেকেই ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ চায় উত্তীর্ণরা

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২১ ২০:১০

‘করোনা মহামারি মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ২ হাজারসহ অতিরিক্ত ৪ হাজার চিকিৎসক অর্থাৎ সর্বমোট ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সামাল দিতে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংকট দূর করতে দ্রুত ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন এই ব্যাচের নবীন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, নতুন যে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা যেন এই বিসিএস থেকেই পূরণ করা হয়। এ জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

৪২তম বিশেষ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৩১ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ২২ জন উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষা দেন অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থী। এর পর করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ডা. অর্নব বকশি, ডা. সুব্রত বর্মন, ও ডা. আশিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তারা বলেন, ৪২তম বিশেষ বিসিএসে উত্তীর্ণ সবার মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত শেষ করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে হবে। এতে চিকিৎসক সংকট কিছুটা হলেও কাটবে।

তারা জানান, করোনাভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত প্রায়। কোভিড গত বছরই স্বাস্থ্য খাতের জনবল সংকট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় ১১ হাজার ৩৬৩টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে।

গত ২০ নভেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় সংসদে চিকিৎসক সংকটের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রতিবেদনে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ ৪২ হাজার ৪২২টি শূন্য পদের কথা বলা হয়।

তারা আরও জানান, এই চিকিৎসক সংকটের কথা মাথায় রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৭ ডিসেম্বর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সার্কুলার হয়। ২৬শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারি (লিখিত) পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এবং ৬ হাজার ২২ জন উত্তীর্ণ হন।

গত ৬ই জুন তাদের ভাইভা পরীক্ষা শুরু হয়, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে লকডাউন জোরদার করায় ২৪ জুন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

ডা. ফাতেমাতুজ্জোহরা বলেন, ‘করোনা মহামারি মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ২ হাজারসহ অতিরিক্ত ৪ হাজার চিকিৎসক অর্থাৎ সর্বমোট ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে করোনায় রোগীদের সেবা দানের সুযোগ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

৮ মে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অতিউচ্চ সংক্রমণশীল এই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে প্রতিদিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ হাজার ৭৬৮ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২২০ জন। এই অবস্থা চলতে থাকলে স্বাস্থ্যসেবা খাত নাজুক হতে বাধ্য।

বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় সংকটের জন্য রোগীর সংকুলান এবং উপযুক্ত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এরইমধ্যে ১৬০ জন চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও ৪ হাজার চিকিৎসক এবং ৮ হাজার ৫০০ নার্স দ্রুত নিয়োগ দিতে বলা হয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, করোনা মোকাবিলায় আরও পাঁচটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। যেহেতু স্বল্প সময়ে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া অসম্ভব, সেহেতু চলমান ৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকেই চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানান উত্তীর্ণরা।

এ বিভাগের আরো খবর