সুস্বাদু মসলা হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে খুবই পরিচিত দারচিনি। যুগ যুগ থেকে মসলা হিসেবে এর খ্যাতি। এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানও দারচিনি খাওয়ার উপকারিতার কথা বলছে।
বাজারে সাধারণত দুই ধরনের দারচিনি পাওয়া যায়। একটি ক্যাসিয়া, আরেকটি সিলন।
অনেকেই মনে করেন সিলন দারচিনির পুষ্টিগুণ বেশি। মনে করলেও দুই প্রকার দারচিনির পুষ্টিগুণ খুবই কাছাকাছি।
মসলা বা চিকিৎসা উপকরণ দুই উপায়েই এর পুষ্টিগুণ জেনে নেয়া যাক।
আশঙ্কা কমায় হৃদরোগের
এক সমীক্ষায় বলা হয়, যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে তাদের প্রতিদিন আধা চা-চামচ করে দারচিনি খাওয়ায় উপকার পাওয়ার তথ্য জানা গেছে। কেননা, দারচিনিতে কমে যায় ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
দারচিনিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেক বেশি। এক সমীক্ষা করে দেখা গেছে ২৬ রকমের মসলার মধ্যে এতেই সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া গেছে। তাই রোজ যদি কেউ দারচিনি খান তাহলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে ত্বকও।
প্রদাহ কমায়
দারচিনিতে রয়েছে শরীরে কোনোরকম প্রদাহ হলেই এই মসলা সেটি কমিয়ে দেয়। এমনকি শরীরে কোনো টিস্যুর ক্ষতি হলে বা আঘাত পেলেও এই মসলা তা দ্রুত সারিয়ে দিতে পারে।
মেদ ঝরাবে দারচিনি
কঠোর অনুশীলন করছেন মেদ ঝরাতে? তাহলে এখনই বেছে নিন খাবারের তালিকায় দারচিনি। সকালে পানির সঙ্গে এক চিমটি দারচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে নিন। কিংবা যেকোনো প্রোটিন ড্রিংকের সঙ্গে একটু গুঁড়া দারচিনি মিশিয়ে খেয়ে নিন, দেখবেন মেদ ঝরাতে কতটা সাহায্য করে।
ডায়বেটিসে উপকার
শরীরে ইনসুলিনের মতো হরমোনের চাহিদা পূরণে খুবই উপকারী দারচিনি। যাদের টাইপ টু ডায়বেটিস রয়েছে তাদের জন্য এটি কাজে আসে।
শর্করার মাত্রা
রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতেও কাজ করে দারচিনি। প্রতিদিন দুই চা-চামচ করে দারচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে ফাস্টিং সুগারের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে দারচিনি।
কমায় ক্যানসারের ঝুঁকি
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে দারচিনি কতটা কাজ করে সেটি দেখতে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়েই। ক্যানসার আক্রান্ত কোষ যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার পেছনে দারচিনির কতটা অবদান রয়েছে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে এক গবেষণায়। দেখা গেছে অন্ত্রের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ ছড়ানো আটকাতে সক্ষম দারচিনি।