করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে এভারকেয়ার হাসপাতাল। এতে হাসপাতালটির সাতজন চিকিৎসকের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত তিনজন চিকিৎসককে নেয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) কিছু পরীক্ষা হয়েছে। কালকে (বৃহস্পতিবার) কিছু পরীক্ষা হবে। সেই রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে ম্যাডামের চিকিৎসার প্ল্যান সম্পন্ন হবে। এরপর ম্যাডামকে বাসায় আনার সিদ্ধান্ত হবে। ম্যাডামের অবস্থা স্ট্যাবল আছে। আমরা খুব আশাবাদী তিনি খুব দ্রুত বাসায় ফিরবেন।’
তিনি জানান, বুধবার মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার কিছু পরীক্ষা করেছে। তারা আরও কিছু পরীক্ষার সুপারিশ করেছে। পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটিস্ক্যান, ইসিজি, ইকো, হৃদরোগ।
জাহিদ বলেন, ‘এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ম্যাডামের সিটিস্ক্যানে ফুসফুসে অত্যন্ত মিনিমাম সংক্রমণ ছিল। কিন্তু গতকালে সিটিস্ক্যানে বিন্দুমাত্র ইনভলভমেন্ট (সংক্রমণ) নেই। কাজেই এটা ভালো দিক।’
খালেদা জিয়ার করোনা চিকিৎসার বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের করোনার কোনো উপসর্গ নেই। আপনার জানেন, আন্তর্জাতিক নিয়মে আছে কারো করোনা আক্রান্তের দুই সপ্তাহ পার হলে তার থেকে অন্যরা সংক্রমিত হয় না। সেই হিসেবে ম্যাডামের ২০ দিন চলে। এখন ম্যাডামের অন্য চিকিৎসা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসক আল মামুন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।