দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমেছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯৫৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ৩ হাজার ৩১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিন মৃত্যু হয় ৭৮ জনের। সোমবার করোনা শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৩০৬ জনের দেহে, মৃত্যু হয় ৯৭ জনের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনের দেহে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ হাজার ৩০৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩৫৮টি ল্যাবে ২৮ হাজার ৪৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
গত একদিনে ৫ হাজার ৩৯২ জন সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ, নারী ৩৪ জন। তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বয়স বিবেচনায় মৃত ৭৭ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব দুই, ত্রিশোর্ধ্ব আট, চল্লিশোর্ধ্ব তিন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২, ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ৯ জন। এ ছাড়া, রাজশাহীতে পাঁচ, খুলনায় সাত, সিলেট দুই, খুলনা সাত, বরিশালে পাঁচ, রংপুর এক ও ময়মনসিংহে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।