দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৩১ জনের শরীরে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সোমবার মৃত্যু হয়েছিল ৯৭ জনের; সেদিন শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৩০৬ জন। এর আগের দিন মৃত্যু হয় ১০১ জনের। এ সময় মধ্যে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয় ২ হাজার ৯২২ শরীরে।
শনিবার ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে ১০১ জন। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৯২২ জনের শরীরে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৯ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ২২৮ জনের।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৮টি ল্যাবে ২৪ হাজার ২৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২৩৪ জন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯২৭ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত একদিনে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন, ৩৩ জন নারী। তাদের মধ্যে দুই জন ছাড়া সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বয়স বিবেচনায় মৃত ৭৮ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিন, চল্লিশোর্ধ্ব সাত, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ ও ষাটোর্ধ্ব ৫৩ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম ১০ বিভাগ। এ ছাড়া, রাজশাহী ও খুলনায় ছয়জন করে, সিলেটে তিন, বরিশালে এক, ময়মনসিংহে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।