করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৩০৬ জন।
আগের দিনের তুলনায় মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও শনাক্ত বেড়েছে। রোববার মৃত্যু হয়েছিল ১০১ জনের। আর ভাইরাসটি পাওয়া যায় ২ হাজার ৯২২ জনের শরীরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জনের দেহে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ হাজার ১৫০ জন।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫০টি ল্যাবে ২৫ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ২৪১ জন সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯৭ জনের মধ্যে ৬১ পুরুষ ও ৩৬ নারী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন বাদে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বয়স বিবেচনায় মৃত ৯৭ জনের মধ্যে রয়েছে একজন শিশু। এ ছাড়া বিশোর্ধ্ব দুই, ত্রিশোর্ধ্ব চার, চল্লিশোর্ধ্ব ১০, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২১, ষাটোর্ধ্ব ৫৯ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ৬৩, চট্টগ্রামে ১২, রাজশাহীতে চার, খুলনা ও সিলেটে ছয় জন করে, রংপুরে দুই, বরিশালে তিন, ময়মনসিংহে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।