পাঁচ দিন পর দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু আবার একশ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে ১০১ জন। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৯২২ জনের শরীরে, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি।
শনিবার দেশে করোনায় মৃত্যু হয় ৮৩ জনের, শনাক্ত ২ হাজার ৬৯৭ জন। আগের দিন ৮৮ জনের মৃত্যু হয়, শনাক্ত ৩ হাজার ৬২৯ জন।
বৃহস্পতিবার মৃত্যু ৯৮ জনের, এদিন করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে ৪ হাজার ১৪ জনের শরীরে। এর আগের দিন করোনায় মৃত্যু হয় ৯৫ জনের; আর শনাক্ত ৪ হাজার ২৮০ জন। ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যু হয় ৯১ জনের। ওইদিন করোনা শনাক্ত হয় ৪ হাজার ৫৪৯ জনের শরীরে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩২২ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫৩ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩৫০টি ল্যাবে ২১ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.৩৩ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩.৯৪ শতাংশ।
একদিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৩০১ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫২ জন। সুস্থতার হার ৮৮.২১ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৫২ পুরুষ, ৪৯ নারী রয়েছে। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। বাকিদের বয়স বিশোর্ধ্ব তিন, ত্রিশোর্ধ্ব তিন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮, ষাটোর্ধ্ব ৬৫ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ২৩ জন। এ ছাড়া, রাজশাহীতে এক, খুলনা পাঁচ, সিলেটে আট, রংপুরে দুই, বরিশালে আট, ময়মনসিংহে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।