বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা পরীক্ষায় আবার নমুনা দিলেন খালেদা জিয়া

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:৩৮

বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ম্যাডামের নমুনা নেয়া হয়েছে। বাহ্যিকভাবে তার করোনা উপসর্গ এখন আর নেই। টেস্টের রেজাল্ট আসলে আমরা জানাতে পারব, ফাইনালি তিনি করোনা মুক্ত কি না।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন কি না তা যাছাইয়ে নমুনা দিয়েছেন।

ল্যাবএইড হাসপাতালের একজন টেকনোলজিস্ট বিএনপি নেত্রীর গুলশানের ফিরোজা ভবনে শনিবার দুপুরে এসে তার নমুনা নিয়ে যান বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।

চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ম্যাডামের নমুনা নেয়া হয়েছে। বাহ্যিকভাবে তার করোনা উপসর্গ এখন আর নেই। টেস্টের রেজাল্ট আসলে আমরা জানাতে পারব, ফাইনালি তিনি করোনা মুক্ত কি না।’

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসার অন্তত ৯ জন করোনা আক্রান্ত।

করোনায় আক্রান্ত হলেও বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করাতে যান খালেদা জিয়া। ছবি: নিউজবাংলা

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর