টানা চারদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ। এরপর মৃত্যু কিছুটা কমে। বৃহস্পতিবার আবারও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭৮১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৪ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জনের দেহে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৯টি ল্যাবে ২৭ হাজার ৪২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪.৬৩ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩.৯৫ শতাংশ।
গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ২৬৬ জন। মোট সুস্থ ছয় লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন। সুস্থতার হার ৮৭.২৮ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৬২ জন, নারী ৩৬। তাদের মধ্যে ছয়জন বাদে সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
গত একদিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে দশোর্ধ্ব ২, বিশোর্ধ্ব ১, ত্রিশোর্ধ্ব ২, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২০, ষাটোর্ধ্ব ৫৯ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; এর পরেই চট্টগ্রামে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৬, খুলনায় ৫, সিলেটে ৪, রংপুরে ৩, ময়মনসিংহে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।