বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: অশনিসংকেত দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫৫

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০ দিনে করোনা সংক্রমণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা অশনিসংকেত। যদি আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানি তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে করা সম্ভব নয়।’

হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াকে অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

করোনা বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় এক অনলাইন বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০ দিনে করোনা সংক্রমণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা অশনিসংকেত। যদি আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানি তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে। সরকার থেকে ১৮টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে সরকার আরও কঠোর হবে। এক মাস আগেও শনাক্তের হার ২ শতাংশের নিচে ছিল। এটা বেড়ে ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’

জাহিদ মালেক জানান, রাজধানীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) খালি নাই। এ জন্য আইসিইউ ও বেড বাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য বেড দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘করোনা সংক্রমণ এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে করোনা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। এ বিষয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজেরা নিজেদের পরিবার, প্রতিবেশী, আপনজনদের রক্ষা করুন। না হলে সেবা দিয়েও কুলানো যাবে না।’

জাহিদ মালেক জানান, করোনার বিস্তার রোধে বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। জনসমাগম নিরুৎসাহে সব ধরনের সভা-সমাবেশ সীমিত করা হবে। পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল, সব ধরনের মেলা, পিকনিক বন্ধ করতে হবে।

লম্বা একটা সময় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গরম শুরুর পর থেকেই সংক্রমণ আবার বাড়ছে। শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে প্রতিদিনই। বুধবার গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে জানানো হয় রেকর্ড ৫ হাজার ৩৫৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ৫২ জনের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে হারে সংক্রমণ এবং রোগী বাড়ছে সারা শহরকে হাসপাতালে বদলালেও জায়গা হবে না। সংক্রমণের উৎস বন্ধ করতে হবে, এ জন্য জনগণের সহযোগিতা দরকার।’

তিনি জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসার আওতা আরও বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে ২৫০ বেড, আইসিইউ ৫০ বেডসহ ১ হাজার ২০০ বেড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আরও ১৫০০ বেড বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অনলাইন বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৪ হাজার বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে সব ব্যবস্থা আছে। ঢাকায় ভিড় না করে সেখানকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে মানুষকে অনুরোধ করছি।’

বৈঠকে বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন একটু ভিন্ন। আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। নতুন ধরনে কারও ক্ষেত্রে ফুসফুস, আবার কারও গ্যাস্ট্রো-এন্টারোলজিক্যাল সিস্টেমগুলো মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। তখন দ্রুততম সময়ে চিকিৎসার আওতায় নেয়া প্রয়োজন হয়।

‘এখন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশকেই আইসিইউতে নিতে হচ্ছে। এই কারণে এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এ জন্য সরকারি পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড বাড়ানোর প্রয়োজন।’

অনলাইনে বৈঠকে যুক্ত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, আনোয়ার খান মর্ডান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।

এ বিভাগের আরো খবর