ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পথচলতি মানুষের কোভিড পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা বাড়তে থাকায় নেয়া হয় এ পদক্ষেপ।
এর আওতায় বুধবার থেকে দিল্লি বিমানবন্দর, আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে।
দিল্লিতে এখন পর্যন্ত ছয় লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংক্রমণের এ পর্যায়ে ৮৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ রোগীই মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, গুজরাট, পাঞ্জাব ও মধ্য প্রদেশ-এই আট রাজ্যের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার ভারতজুড়ে অর্ধলাখের বেশি মানুষের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা এক কোটি ২১ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণ গেছে এক লাখ ৬৩ হাজার মানুষের। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের পরিচালক ডা. রণদীপ গুলেরিয়ার মতে, দিল্লিতে বর্তমানে অল্পবয়সীদের মধ্যে কোভিডের তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশই মৃদু উপসর্গে ভুগছেন। তবে তাদের মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে এবং তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে তরুণদের সতর্ক থাকা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে যেমন দেখা গেছে, প্রথমে সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকলেও পরে তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে আবারও স্বাস্থ্যসেবায় চাপ বাড়ছে। ঝুঁকি বাড়ছে মানুষের চিকিৎসা বঞ্চিত হওয়ার।’
মঙ্গলবার ভারতে করোনাভাইরাসে কমপক্ষে ৩৫৪ জনের মৃত্যু হয়, যা গত সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে ১৪০ জনই ছিলেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এ ছাড়া কর্নাটকও ডিসেম্বরের পর করোনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানি রেকর্ড করেছে এদিন।