বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক ডোজের টিকা আনতে চায় সরকার

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২১ ১৩:৩২

জনসন অ্যান্ড জনসন উদ্ভাবিত এক ডোজের টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি কোনো সুযোগ আসে, নিশ্চয়ই আমরা এটা নিয়ে আসব। এক ডোজ করে দিলে আমাদের সময় বাঁচবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা আছে, ওটাই চালিয়ে যাব।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এক ডোজের টিকা আনতে আগ্রহী সরকার। এ জন্য টিকাটি উৎপাদনকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান।

‘বিশ্ব শ্রবণ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় নাক নাক গলা ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

‘দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়া হবে। এ জন্য আমার বিভিন্ন টিকা উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। সিঙ্গেল ডোজ টিকার জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।’

সম্প্রতি জনসন উদ্ভাবিত এক ডোজের টিকা প্রয়োগে অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দপ্তর (এফডিএ)। এটা যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী তৃতীয় টিকা। আগের দুটি টিকা আনে দেশটির দুই প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্না।

করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে অন্যান্য টিকা দুই ডোজ নেয়া বাধ্যতামূলক হলেও জনসনের টিকা এক ডোজ নিলেই চলে বলে জানান উদ্ভাবকেরা। ফাইজার ও মডার্নার চেয়ে জনসনের টিকা দামে কম, সংরক্ষণপ্রক্রিয়াও সহজ।

আগের টিকা দুটি সংরক্ষণে উচ্চমাত্রার ফ্রিজার প্রয়োজন হলেও সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই রাখা যাবে জনসনের টিকা। ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনাজনিত জটিল অসুস্থতা রোধ করতে পারে এই টিকা। সার্বিকভাবে কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশ।

এরই মধ্যে এই টিকা পেতে আগাম অর্ডার দিয়ে রেখেছে কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ। টিকাটি পেতে আগ্রহী বাংলাদেশও।

স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি কোনো সুযোগ আসে, নিশ্চয়ই আমরা এটা নিয়ে আসব। এক ডোজ করে দিলে আমাদের সময় বাঁচবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা আছে, ওটাই চালিয়ে যাব।’

করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রয়োগ চলছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ টিকা।

এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনেছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে ৯০ লাখ ডোজ দেশে আসছে। বাকিগুলোও আসবে ধাপে ধাপে।

এরই মধ্যে দেশে ৩৩ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়ে গেছে। টিকা পেতে নিবন্ধন করেছে ৪৫ লাখের ওপরে মানুষ। আরও তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা কেনার পরিকল্পনা করছে সরকার।

স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান। ছবি: নিউজবাংলা

টিকার কোনো সংকট হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, আমাদের টিকার কোনো সংকট হবে না। এগুলো শেষ হতে না হতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও তিন কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলোও অক্সফোর্ডের টিকাই আনা হবে।’

কেনা টিকা ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত করোনার টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফ্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। ধাপে ধাপে আসবে এসব টিকা।

কোভ্যাক্সের টিকার প্রথম চালান কবে আসছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘তারা তো জানিয়েছে মার্চ মাসেই টিকা পাঠাবে। আমরাও আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই পাব। তবে এখনও তারা আমাদের নির্ধারিত কোনো তারিখ জানায়নি।

‘বাংলাদেশে কবে তারা টিকা দেবে এটা বড় কথা নয়, কথা হলো এশিয়ার অন্য কোনো দেশ যদি আগে পেয়ে যায়, তাহলে বলতে পারেন যে, কেন আমরা আগে পেলাম না।’

এ বিভাগের আরো খবর