বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্যটনকেন্দ্র খুললেও সেন্ট মার্টিন যেতে মানা 

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২১ ১১:১৬

জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় কাজ করবে আলাদা তিনটি মোবাইল টিম। স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থাকবে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম।’

দীর্ঘ ৪ মাস ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় খুশি পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দেশি-বিদেশি পর্যটকে সরগরম থাকা সৈকত আবারও ফিরে পেয়েছে প্রাণ।

হতাশা ছাপিয়ে এখন কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্ধ থাকছে প্রবাল দ্বীপ ‘সেন্ট মার্টিন’-এ পর্যটকদের আনাগোনা।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের পর্যটন স্পট, সাবরাং এক্সক্লুসিভ জোন, ন্যাচার পার্ক, টেকনাফ বার্মিজ মার্কেট, ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরসহ রামু রাম কুট বৌদ্ধ বিহার সাজানো হয়েছে।

তবে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত না করে যেনতেনভাবে সৈকতে নামা যাবে না। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তাই কিছুক্ষণ পর পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতে নামতে করা হচ্ছে মাইকিং।

কক্সবাজার জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলি, কবিতা চত্বর, ইনানী ও পাটুয়ারটেকসহ ছয়টি পয়েন্টে থাকবে পুলিশের টিম।

তিনি আরও বলেন, ‘বীচে নামতে হলে নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

‘এ ছাড়া জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় কাজ করবে আলাদা তিনটি মোবাইল টিম। স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে ট্যুরিস্ট পুলিশও। এসব কার্যক্রমে তাদের পাশাপাশি থাকবে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আসার জন্য পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানান এসপি।

আংশিকভাবে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় আবারও হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম জানান, হোটেল ব্যবসানির্ভর কক্সবাজারে ৩০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। আংশিকভাবে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় সবার মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গত চার মাসে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন পর্যটন এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীরা।’

এদিকে সেন্ট মার্টিনে এখনো শুরু হয়নি পর্যটক বরণের প্রস্তুতি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্ট মার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এমন সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন।

ফলে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে এখনো শুরু হয়নি পর্যটনসংশ্লিষ্ট হোটেল, কটেজ সাজানো ও জাহাজ চলাচলের প্রস্তুতি।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, ‘এখানকার পর্যটন ব্যবসা মূলত মৌসুমকেন্দ্রিক। বর্ষা মৌসুম শেষে এখানে আবার জমবে পর্যটকদের আনাগোনা।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌ রুটে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই আপাতত পর্যটকবাহী কোনও জাহাজ এই নৌ রুটে চলাচল করবে না।

বন্ধ রয়েছে। তাই পর্যটকরা আপাতত সেন্ট মার্টিন যাতায়াত করতে পারবে না।

গত বছর করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে বন্ধ করে দেয়া হয় পর্যটনগুলো। এরপর সংক্রমণ কিছুটা কমে এলে ওই বছরের ১৭ আগস্ট খুলে দেয়া হয় সব পর্যটনকেন্দ্র। তবে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল আবার বন্ধ হয়ে যায় পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র।

এ বিভাগের আরো খবর