দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে থাকা বিধিনিষেধ উঠছে বৃহস্পতিবার থেকে। এ ঘোষণার পর কক্সবাজারের ফ্লাইটগুলোতে দেখা দিয়েছে বাড়তি চাপ।
এয়ারলাইনসগুলো বলছে, এরই মধ্যে সব ফ্লাইটের ৮০ ভাগের বেশি টিকিট বিক্রি শেষ।
কক্সবাজারের ফ্লাইটগুলোতে স্বাভাবিক সময়েও চাপ থাকে। তবে এতদিন করোনার বিধিনিষেধের কারণে তা তেমন একটা ছিল না।
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরের ১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় চার মাস পর বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা হবে। অবশ্য ১০ আগস্ট থেকে খুলেছে নগরীর আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো।
বৃহস্পতিবার থেকে খোলার কথা থাকলেও, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় কয়েক দিন ধরেই সমুদ্রসৈকতে জনমানুষের কোলাহল দেখা যাচ্ছে। তবে এখন যারা সৈকতে যাচ্ছেন তাদের একটি বড় অংশ স্থানীয় বাসিন্দা।
এয়ারলাইনসগুলোর ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের একটি এয়ার টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ৪ হাজার ২৯৯ টাকা। বৃহস্পতিবার এই টিকিটের দাম উঠেছে ১১ হাজারেরও বেশি।
নভো এয়ারের বৃহস্পতিবারের দুটি ফ্লাইটেই এখন টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার ২০০ টাকায়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এই সিলিংয়ে টিকিট ছিল দুই থেকে তিনটি। এই দামের টিকিট শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী ধাপে টিকিট বিক্রি হবে ৯ হাজার ৭০০ টাকায়।
বেসরকারি আরেক এয়ারলাইনস ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারের কম দামের সব টিকিট শেষ। এখন টিকিট বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ দামে ১১ হাজার ৫০০ টাকায়।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইকাও) নিয়ম অনুসরণ করে টিকিট বিক্রি করে থাকে দেশি এয়ারলাইনসগুলো। এতে একটি ফ্লাইটের আসনগুলোকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করে টিকিট বিক্রি করা হয়। একেক ধাপের টিকিটের দাম একেক রকম। যিনি যত আগে টিকিট কিনবেন তিনি তত কম দামে টিকিট কিনতে পারবেন।
ইউএস বাংলার জনসংযোগ ও বিপণন বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কক্সবাজারের ফ্লাইটে এখন ৮০ ভাগের বেশি যাত্রী হচ্ছে। যেহেতু বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটনকেন্দ্র খুলবে, সেটার একটা প্রভাব থাকতে পারে।
‘বিধিনিষেধের কারণে আমরা এখন এই গন্তব্যে দিনে দুটি করে ফ্লাইট চালাতে পারছি। এটিও একটি কারণ হতে পারে। ফ্লাইট কম হওয়ায় চাপ বেশি।’
নভো এয়ারের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মেসবাহ উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় অনেকেই কক্সবাজারের টিকিট খুঁজছেন। কয়েক দিন ধরে চাহিদা অনেক বেশি।’
গত ১৪ আগস্ট পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়ে কক্সবাজারে মারা গেছেন ২৩৫ জন। তার মধ্যে ২৯ জন রোহিঙ্গা। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৪৫ জন।