বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবচেয়ে উঁচু বাঞ্জি লাফ দিচ্ছে চীনারা

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২১ ১১:৩৬

ঝ্যাংজিয়াজি কাচের সেতু থেকে বাঞ্জি জাম্পিং শুরু হয় ২০২০ সালের শেষ দিকে। আরও আগে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারি আর লকডাউনের কারণে কিছুটা দেরিতেই এ সুযোগ পান চীনা পর্যটকরা।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় পার্বত্য প্রদেশ হুনানে দুটি খাড়া পাহাড় যুক্ত ৪৩০ মিটার দীর্ঘ একটি কাচের সেতু দিয়ে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত যত বাঞ্জি জাম্পের ব্যবস্থা আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু হুনানের সেতুটি।

ইলাস্টিকের দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকা অবস্থায় সুউচ্চ স্থান থেকে ফাঁকা জায়গায় লাফিয়ে পড়ে রোমাঞ্চের স্বাদ নেয়ার সুযোগ করে দেয় বাঞ্জি জাম্পিং। উঁচু ভবন বা ক্রেন, উপত্যকা বা গিরিখাতের মাঝে থাকা সেতুসহ অনেক জায়গা থেকেই বাঞ্জি জাম্পের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত পাহাড় আর পাথুরে স্রোতস্বিনী খাল বা নদীর সংযোগস্থলে বাঞ্জি জাম্প করা গেলে অনুভূতি হয় আরও দুর্দান্ত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, হুনানের ঝ্যাংজিয়াজি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গ্লাস ব্রিজে দাঁড়িয়ে ২৬০ মিটার উঁচু থেকে লাফ দেয়ার সুযোগ পান পর্যটকরা।

চীনে ৪৩০ মিটার লম্বা এই সেতুটি একসময় বিশ্বের দীর্ঘতম কাচের সেতু ছিল। ছবি: সংগৃহীত

লাফিয়ে পড়তে থাকার সময় পেট মোচড়ানো অনুভূতি নিতে নিতেই মন ভরে আশপাশের বনাঞ্চলের সৌন্দর্যও দেখতে পান তারা।

জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় আছে ঝ্যাংজিয়াজি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গ্লাস ব্রিজসংলগ্ন উলিংইউয়ানের বনাঞ্চল।

ঝ্যাংজিয়াজি থেকে বাঞ্জি জাম্প শেষে উঠে আসছেন দুই পর্যটক। ছবি: সংগৃহীত

দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় স্থানটি। বেলেপাথরের উঁচু পাহাড় আর মেঘে ঢাকা চূড়ার সঙ্গে গভীর ও গিরিখাত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মিলনমেলা।

ঝ্যাংজিয়াজি কাচের সেতু থেকে বাঞ্জি জাম্পিং শুরু হয় ২০২০ সালের শেষ দিকে। আরও আগে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারি আর লকডাউনের কারণে কিছুটা দেরিতেই এ সুযোগ পান চীনা পর্যটকরা।

মহামারির কারণে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে সুউচ্চ স্থান থেকে লাফিয়ে পড়ার রোমাঞ্চ থেকে এখনও বঞ্চিত বিদেশি পর্যটকরা।

আপাতত দেশীয় পর্যটকদের নিয়েই অঞ্চলটিতে পর্যটন ব্যবসায় ধীরে ধীরে গতি ফেরানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক জোন্নি ডিকার।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন বাঞ্জি জাম্প করছেন। এ সংখ্যা আশাব্যঞ্জক।’

পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পূর্বনির্ধারিত খরচ ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি জাম্পের জন্য বর্তমান খরচ চীনা মুদ্রায় এক হাজার ৯৯৮ ইউয়ান বা ৩০৬ ডলার।

২০১৬ সালের আগস্টে চালু হওয়া ঝ্যাংজিয়ান গ্লাস ব্রিজ সে সময় ছিল বিশ্বের দীর্ঘতম কাচের সেতু। ইসরায়েলের স্থপতি হেইম দোতানের নকশায় নির্মিত এটি।

এ বিভাগের আরো খবর