বাদাম আমাদের সবারই প্রিয় খাবার। অবসরে অথবা কাজের ফাঁকে টুকটাক বাদাম চিবুতে কে না ভালোবাসে!
এটা শুধু খেতেই ভালো নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।
বাদামে ফ্যাট থাকে, থাকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। তাই বাদাম খেলে বেশ কিছুক্ষণ পেট ভরে থাকে।
এ ছাড়া বেশির ভাগ বাদামে থাকে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। আখরোটে অবশ্য পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে।
তবে ক্ষতিকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট তেমন থাকে না। ডায়েটারি কোলেস্টেরলও বাদামে খুঁজে পাবেন না। অর্থাৎ যারা হাই কোলেস্টেরলের রোগী, তারাও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে পর্যাপ্ত বাদাম খেতে পারবেন।
বাদামে আছে ভিটামিন ই, বি সিক্স, ফোলেট ও নানা মিনারেলস। এসব উপাদান ভালো রাখবে আপনার ত্বক আর চুলের স্বাস্থ্য। সেই সঙ্গে বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডান্ট আপনার ওজন কমানোর ব্যাপারেও সাহায্য করবে।
বাদাম হজম করতে গেলে শরীরকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়, শরীর ফিট থাকে।তবে অতিরিক্ত বাদাম খেলে চলবে না। দিনে এক মুঠের বেশি বাদাম না খাওয়াই ভালো। ভাজা অথবা লবণ মেশানো বাদাম খেলে উপকারও হবে না।
বাদাম সব সময় একটা শুকনো কৌটার মধ্যে রাখতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো বা পানির সংস্পর্শে যেন তা না আসে। তেমনটা হলে ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।বাদামে যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা এটা এড়িয়ে চলবেন।