আন্তর্জাতিক টিকিটধারী যাত্রীদের ঢাকায় আসার সুযোগ দিতে অভ্যন্তরীণ রুটে দেশি এয়ারলাইনসগুলোকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সংস্থার এয়ার ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ-সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়।
এর ফলে যেসব যাত্রীর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট রয়েছে, তাদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালাতে পারবে তিন দেশি অপারেটর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরাও এই ফ্লাইট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট ছাড়া অন্যদের পরিবহন করা যাবে না।
অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্রু এবং যাত্রীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে সাত দিনের শাটডাউন চলছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো বন্ধ রাখা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল। তবে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট স্বাভাবিক রয়েছে।
সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে সার্কুলার জারি করে বেবিচক। অবশ্য ত্রাণ ও চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত ফ্লাইট ও কার্গো ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ রাখা হয়।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের ঢাকায় নিয়ে আসতে তারা চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এক দিন পর আরও দুটি দেশি অপারেটরও এ সুযোগ পেল।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছরের মার্চে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করে বেবিচক। অবশ্য জুলাই থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে আকাশপথ।
চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ৫ এপ্রিল থেকে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সে সময় আন্তজেলা পরিবহনের মতো বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলও। তবে ২১ এপ্রিল থেকে আবারও সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।