বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউন মানছে না হাওর ভ্রমণপিপাসুরা

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ০৮:৪৭

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন তাহিরপুরের সব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আগমন নিষিদ্ধ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও অসংখ্য পর্যটন গ্রুপ তাহিরপুরের পর্যটন স্থানগুলোতে ঘুরতে আসছে।

হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর পর্যটকদের সবচেয়ে পছন্দের স্থান। সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করোনার মধ্যেই অবাধে আসছে পর্যটকরা।

টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক, ট্যাকেরঘাট, বারেক টিলা, যাদুকাটা নদী, লাকমাছড়া, শিমুল বাগানসহ সবকটি পর্যটনকেন্দ্রে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা অবাধে ঘোরাফেরা করার কারণে করোনা সংক্রমণের হুমকির মুখে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের নেত্রকোণা, কলমাকান্দা, ধর্মপাশা, মোহনগঞ্জ, তাহিরপুর সদরের বিভিন্ন রুট দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক হাওর এলাকায় ঘুরতে আসেন।

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন তাহিরপুরের সব পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আগমন নিষিদ্ধ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও অসংখ্য পর্যটন গ্রুপ তাহিরপুরের পর্যটন স্থানগুলোতে ঘুরতে আসছে।

তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কিছুসংখ্যক অসাধু নৌযানের মালিক। তারা হাওরের বিকল্প রুট ব্যবহার করে লুকিয়ে পর্যটকদের বিভিন্ন স্পটে নিয়ে যান। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করে হাওরের বিভিন্ন এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়ান।

স্থানীয়দের ধারণা, নৌযানের চালকদের মাধ্যমে তাহিরপুরের পর্যটনকেন্দ্রের আশপাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা।

উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের উকিল মিয়া জানান, প্রতিদিন প্রায় ১০/১৫টি পর্যটকবাহী নৌকা ওয়াচ টাওয়ারে এসে ভিড় করে। পর্যটকরা হাওরে নেমে গোসল করে গ্রামের দোকানগুলোতে বিভিন্ন খাবারদাবার কেনেন। এ রকম অবাধে চলাফেরা চলতে থাকলে করোনায় সুনামগঞ্জ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মান্দিয়াতা গ্রামের ফয়সল হক জানান, পর্যটকদের আসা শুধু কাগজে বন্ধ; বাস্তবে রোজ শত শত পর্যটক হাওরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ান। এভাবে চলতে থাকলে তাহিরপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

ট্যাকেরঘাট এলাকার ইউনুছ আলী জানান, আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের বিরত রাখতে হবে। প্রয়োজনে হাওরে ভ্রাম্যমাণ টহল পুলিশ দিতে হবে।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘করোনার সময়ে তাহিরপুরের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে কোনো পর্যটক আমরা অ্যালাউ করব না। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষকে জানানোর জন্য মাইকিং করা হয়েছে।’

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান কবীর বলেন, ‘পর্যটন স্পটগুলোকে উপজেলা প্রশাসন থেকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হয়।

‘বিধিনিষেধ অমান্য করেই হাওরে আসছেন পর্যটক। আর পর্যটকবাহী নৌযান যাতে না আসে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর