বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার দাবি টোয়াবের

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ১৮:৪০

টোয়াব নেতাদের দাবি, গত বছর করোনার কারণে পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউন চললে আরও ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হতে পারে।

বাজেটে পর্যটন খাতের বিকাশের কথা বলা হলেও এই খাতের আর্থিক সংকট থেকে বের হয়ে আসার কোনো দিকনির্দেশনা অর্থমন্ত্রী দেননি বলে জানিয়েছে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (টোয়াব)। এই খাতের যথাযথ উন্নয়নে আলাদা মন্ত্রণালয়ের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বর্তমানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পর্যটন খাত নিয়ন্ত্রিত হয়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান পর্যটনশিল্পকে করোনাকালে টেনে তোলার জন্য পাঁচ দফা দাবি জানান।

এ মুহূর্তে পর্যটন খাতের সব কিছু খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

রাফেউজ্জামান বলেন, ‘যদি আমাদেরকে সময় বলতে বলা হয়, তবে আমি বলব, এই মুহূর্তে সকল পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়া হোক। পর্যটন এখন প্লেজার নয়, বরং এটি এখন ট্রিটমেন্ট।’

গত বছর করোনার কারণে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সকলের ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে সবকিছু আবার স্থবির হয়ে যাওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে। চলমান পরিস্থিতি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

এ সময় তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজটে এ খাতে এবার ৪ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা আগের বাজেটের চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি। এই বরাদ্দ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশের জন্য খুবই সামান্য।

তিনি বলেন, ‘বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প বিকাশের কথা বলেছেন, কিন্তু খাতটিকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনার বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

২০১৯ সালের জিডিপিতে পর্যটন ৪ দশমিক ৪ শতাংশ যোগ করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, মহামারির কারণে এ শিল্পে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি এ শিল্পের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে একই জায়গায় দুই রকম নীতি চলে না মন্তব্য করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সভাপতি নাদিরা জামান বলেন, ‘আমরা দেখছি দেশে গণমানুষের উপস্থিতি বেশি থাকে এমন জায়গা খোলা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন খাত খুলে দেয়া উচিত।’

পর্যটন খাতকে শিল্পে পরিণত করার ব্যর্থতা নিজেদের নিতে হবে জানিয়ে নাদিরা বলেন, ‘এতদিন এই খাতে জড়িত থেকে যারা এটাকে শিল্প খাতে পরিণত করতে পারেননি, এটার দায় তাদের। তাহলে আজ প্রণোদনা পাওয়া যেত।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন টোয়াবের পরিচালক (গণমাধ্যম ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ সাহেন উল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের পরিচালকরা, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়া তুষার, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জমাদ্দার, ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সভাপতি এম রেজাউল করিম রেজা, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি রাফেউজ্জামান।

এ সময় তারা নিজ নিজ এলাকার পর্যটন খাতের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন।

এ বিভাগের আরো খবর