কোথাও টুকটুকে লাল, কোথাও হলুদ, কোথাও কমলা। দেখে মনে হয়, কে যেন মুঠো মুঠো রং ছড়িয়ে দিয়েছে চারপাশে।
প্রকৃতির এই রং, রূপ, বৈচিত্র্যের কারণ ঋতুরাজ বসন্ত। গাছে গাছে ফুটে আছে পলাশ, কাঞ্চন, শিমুল। ফুলে ফুলে উড়ছে মৌমাছি। মৌমাছির গুঞ্জন আর পাখির কলকাকলিতে মুখর পুরো এলাকা।
এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপারে গড়ে ওঠা ইকো পার্কে। সেখানে সারি সারি কাঞ্চন আর পলাশ গাছ ভরে আছে ফুলে।
জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ রেললাইনের পাশে রাস্তার দুই ধারে অসংখ্য গাছে ফুটে আছে রক্তরাঙা শিমুল ফুল।
ইট-কাঠ-পাথর থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই আসছেন এখানে। পিচঢালা রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। পায়ের নিচে গাছ থেকে ঝরে পড়া ফুল। মনে হয় যেন ফুলের গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে।
কখনও বাতাসে গায়ের ওপরই টুপটাপ ঝরে পড়ছে ফুল। কেউ কেউ সেই ফুল রেখে দেন পকেটে বা ব্যাগে। কেউ আবার গুঁজে নেন চুলে।
ফুল দেখতে আসা রনি সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রকৃতির এই রূপ না দেখলে অনেক বড় মিস হতো। এত সুন্দর ফুল ফুটে আছে গাছে। মনটা ভরে গেল।’
আইরিন আক্তার বলেন, ‘বসন্তের বাতাস আর এমন চমৎকার ফুল। খুব ভালো লাগছে আমার।’
বঙ্গবন্ধু সেতু ইকো পার্কের তত্ত্বাবধায়ক রিপন আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে না আসলে কখনোই এমন সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব না। প্রায় আড়াই হাজার পলাশ ও কাঞ্চন গাছ আছে এখানে। ফুলের এমন রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। দেশের সব প্রকৃতিপ্রেমীকে এই ইকোপার্ক ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ থাকল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা ঠেকাতে বেশি বেশি গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আর সেখানে যদি এমন সুন্দর সব ফুলের গাছ লাগানো হয় তাহলে পরিবেশ, মন দুটোই উপকৃত হবে।’