মাঘ মাসের শীতে পুরো দেশ কাঁপলেও শীতকে উপেক্ষা করে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় এই পর্যটনকেন্দ্রটি এখন লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর কক্সবাজারে পর্যটকের আনাগোনা খুবই কম ছিল। এখন দেশে করোনা মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তাই পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। শীত উপেক্ষা করে সাগরের নীল জলরাশি ও ঝর্ণার জলে নেমে উচ্ছ্বাসে মেতেছে পর্যটকেরা।
সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি হিমছড়ি, দরিয়া নগর, পাটুয়ার টেক, ইনানী সৈকত, সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধ বিহারসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে এখন পর্যটকদের ভিড়। তাদের আগমনে দারুণ খুশি পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বেড়াতে আসা পর্যটকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্ক আর নগর জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি নিয়ে ভ্রমণে এসে তাদের খুব আনন্দ হচ্ছে।
পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ করতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে ৩টি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মী। আছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও।
পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তায় বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান।
কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজে প্রায় ৪ লাখ পর্যটক ধারণের ক্ষমতা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সবার প্রচেষ্টা এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সেবা দেওয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।