বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯৯৯: পাহাড়ে পথহারা পাঁচ জন উদ্ধার

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:০৫

‘আমরা সকালে অগ্নিকুণ্ড মন্দির দেখতে যাই। মন্দির থেকে একটা ঝর্ণার ঝিরিপথ ধরে পাহাড়ে উঠতে থাকি। উঠতে উঠতে আমরা আরেকটা পাহাড়ে চলে যাই। এক পর্যায়ে চূড়ার কাছাকাছি চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা কিছু ধরে যে উঠব সেটা পাচ্ছিলাম না। আমরা যে পথ দিয়ে গিয়েছিলাম সেই পথটা অনেক রিস্কি। আমরা ভাবছিলাম উঠার পরে অন্য পথ দিয়ে নেমে যাব। কিন্তু আমরা কোনো উপায় পাচ্ছিলাম না।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে পথ খুঁজে না পাওয়া পাঁচ জনকে উদ্ধার করেছে পু‌লিশ ও ফায়ার সা‌র্ভিস।

দিশা না পেয়ে এক তরুণ তার ভাইকে ফোন করে বিপত্তির কথা জানায়। তার সেই ভাই কল করেন জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ এ। আর উদ্ধারকারীরা এক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ জনকে নিয়ে আসেন।

যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন হাবিবুর নবী শুভ, শাহরিয়ার ইমন ও দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি নোয়াখালী এবং মো. নাহিদ ও মো. সানি স্থানীয়। তারা সবাই সুস্থ আছেন।

শুক্রবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ প‌রিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পাঁচ জন পাহাড়ে ঘুরতে যান। একপর্যায়ে তারা দিক হারিয়ে ফেলেন।

বেলা পৌ‌নে তিনটায় হৃদয় নামে এক জন ফোন দি‌য়ে জানান, তার ভাই ইমনসহ আরও কয়েকজন সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছে। এখন তারা উপরে উঠতে পারছে না, নীচেও নামতে পারছে না, কোন দিকে যাবে তাও বুঝতে পারছে না।

এর পর জাতীয় জরুরি নম্বর থেকে সীতাকুণ্ড থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে বলিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি জানানো হয় সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে।

সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক আশরাফ সিদ্দিক নিউজবাংলাকে জানান, তিন জন বন্ধু নোয়াখালী থেকে ঘুরতে আসেন। তাদের নিয়ে স্থানীয় দুই কিশোর সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডের অগ্নিকুণ্ড পাহাড়ে ঘুরতে যান।

তিনি বলেন, ‘বিকাল সোয়া তিনটায় ৯৯৯ আমরা সংবাদ পেলাম। আমরা ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে সেখানে যাই। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাদের অবস্থান নির্ণয় করি। অনেক খুঁজে তাদের উদ্ধার করি।’

উদ্ধার হাওয়া শাহরিয়ার ইমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সকালে অগ্নিকুণ্ড মন্দির দেখতে যাই। মন্দির থেকে একটা ঝর্ণার ঝিরিপথ ধরে পাহাড়ে উঠতে থাকি। উঠতে উঠতে আমরা আরেকটা পাহাড়ে চলে যাই। এক পর্যায়ে চূড়ার কাছাকাছি চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা কিছু ধরে যে উঠব সেটা পাচ্ছিলাম না। আমরা যে পথ দিয়ে গিয়েছিলাম সেই পথটা অনেক রিস্কি। আমরা ভাবছিলাম উঠার পরে অন্য পথ দিয়ে নেমে যাব। কিন্তু আমরা কোনো উপায় না পেয়ে আমার ভাইকে জানাই।’

‘এত তাড়াতাড়ি আমাদের উদ্ধার করবে আমরা কল্পনাও করি নাই’-পুরো বিষয়টি এখনও বিস্ময়ের মতো ঠেকছে ইমনের কাছে।

এ বিভাগের আরো খবর