পুরান ঢাকার বিখ্যাত হাজী বিরিয়ানি নামটি অনেকের কাছেই পরিচিত। কিন্তু আসল হাজী বিরিয়ানি কোনটি তা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি।
আসল হাজী বিরিয়ানির খোঁজ করতে নিউজবাংলা পৌঁছে যায় পুরান ঢাকার ৭০ কাজী আলাউদ্দিন রোডের নাজিরাবাজার শাখায়।
সেখানে গিয়ে জানা যায়, এটিই ঐতিহ্যবাহী হাজী বিরিয়ানির প্রধান শাখা। ১৯৩৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হাজী মোহাম্মদ হোসেন। বর্তমানে তার তৃতীয় প্রজন্ম এ ব্যবসা করছে।
নাজিরাবাজারে ছাড়াও ৪২, বেচারাম দেউরীতে আরও একটি শাখা রয়েছে হাজী বিরিয়ানির। এটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে খোলা হয়েছে। তবে নাজিরাবাজারের শাখাটি রয়েছে একদম পুরনো আদলেই।
বেচারাম দেউরী শাখার ম্যানেজার আশরাফ বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন শাখাটি আমরা করেছি মূলত আরও বেশি মানুষকে অ্যাপায়ন করার জন্য। আগের দোকানে ফ্যামিলি নিয়ে সবার বসার জায়গা দিতে পারতাম না।
‘পাশাপাশি সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং বাবুবাজারের ব্যবসায়ীরা অনেক দিন ধরেই আমাদের বলতেছিল এই এলাকায় একটা শাখা দেন। ফলে আমরা ফ্যামেলি নিয়ে সবাইকে আসার সুযোগ দেয়ার জন্য এই শাখাটি খুলি।’
দেউরী শাখায় বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলেন মামুন বেচারাম নামের এক জন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি হাজী বিরিয়ানির এক জন নিয়মিত কাস্টমার। আগে নাজিরাবাজার যাইতাম। এখন বাসার কাছে হওয়ায় বেচারাম দেউরী শাখার আসি। এই বিরিয়ানির ঐতিহ্যের কারণে আমরা সবসময় এইখানে আসি।’
নাজিরাবাজার শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই দুই শাখা ছাড়া আমাদের আর কোনো শাখা নেই। সামনে নতুন কোনো শাখা খোলার কোনো চিন্তা ভাবনাও নেই আমাদের।
‘আমরা সেই পুরনো ঐতিহ্য মেনেই এখনও কাঁঠালপাতায় বিরিয়ানি পরিবেশন করে থাকি। সেটাও পরিবর্তন করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
কাঁঠালপাতায় বিরিয়ানি পরিবেশন করাকে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত দাবি করে আশরাফ বাবু বলেন, ‘এই কাঁঠালপাতা আমাদের নিজেদের লোকরা সংগ্রহ করে সেটিকে পরিষ্কার করে। তারপর এটিকে সুতা দিয়ে ভালো করে প্যাঁচানো হয়। তবে করোনার সময় স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে কিছুদিন ওইভাবে পরিবেশন আমরা বন্ধ রাখি। পরে আবার সেই পুরনো ধারায় ফিরে যাই।’